ইয়েদুরাপ্পা শপথ নিলেও, কর্ণাটকে নাটক অব্যহত

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু। ২২৪ আসনের এই বিধানসভায় প্রথমিকভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে ২২২টি আসনে। তার মধ্যে ১০৪টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি।

Updated By: May 19, 2018, 11:31 AM IST
ইয়েদুরাপ্পা শপথ নিলেও, কর্ণাটকে নাটক অব্যহত

নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার সকলেই কর্ণাটকের  মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা। একক সংখ্যাগোরিষ্ঠতা না পেয়েও, একক বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ার ডাক পায় বিজেপি। তবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে সেখানে বিজেপিকে আস্থা ভোটে জিতে এসে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। যদিও, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই আদালের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ উঠল বিজেপি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ফলে, কর্ণাটক নিয়ে এখনও একই রকমভাবে নাটক অব্যাহত থাকল। জটিলতা বাড়ল দুই নির্দল জয়ী প্রার্থী।

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু। ২২৪ আসনের এই বিধানসভায় প্রথমিকভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে ২২২টি আসনে। তার মধ্যে ১০৪টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। কিন্তু, ১১২-র ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পেয়েছে ৭৮টি আসন। সেখানে সরকার গড়ার পক্ষে যে দল সেখানে কিং মেকারের কাজ করবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল, সেই জেডি(এস) জোট পেয়েছে ৩৮টি আসন।

আরও পড়ুন- কর্ণাটকে কি নিরপেক্ষ হতে পারবেন রাজ্যপাল?

বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে ১৫ই মে ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জেডিএস-কে বাইরে থেকে সমর্থন দিয়ে সরকার গড়তে চেয়ে রাজ্যপাল বজুভাই বালাকে চিঠি দেয় কংগ্রেস। বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ার আর্জি জানিয়েছে রাজ্যপালের কাছে যায় বিজেপিও। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাজ্যপাল নিজের কোর্টে বল রেখে অবশেষে বিজেপিকে সরকার গড়ার আহ্বান জানান। যদিও, বিজেপিকে রুখতে বুধবার মাঝরাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস-জেডিএস জোট। তবে, তাদের সেই স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা।

তবে এখানেই নাটকের অবসান  নয়। এবার ১৫ দিনের মধ্যে বিজেপিকে বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগোরিষ্ঠতা প্রমাণ করেই সরকার টিকে থাকতে হবে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও জেডিএস জোটের মোট আসন সংখ্যা ১১৬, যা ম্যাজিক ফিগারের থেকে ৪ বেশি। ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস ও জেডিএস। তাদের কয়েকজন বিধায়ককেও টাকার প্রলোভন দেখানো হয় বলেও বিজেপিির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এখন দুই নির্দল বিধায়ককে দলে টানার দৌড়ে নেমেছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট ও বিজেপি।

প্রজ্ঞাভন্ত কেন্দ্র থেকে জয়া হয়েছেন কেপিজেপি-র বিধায়ক আর শঙ্কর। মঙ্গলবার জয়ের পর শঙ্কর ঘোষণা করেছিলেন, তিনি বিজেপিকে সমর্থন করবেন। যদিও, বুধবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে তিনি বলেন, বিজেপকে নয়, কংগ্রেসকেই সমর্থন করবেন তিনি। একই অবস্থা  মুকবল কেন্দ্রের জয়ী নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশকে নিয়ে। তিনি কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন। তাকেও এবার দলে টানার জন্য মরিয়া বিজেপি। 

.